গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মধুমতি নদীর কালনা ঘাট এলাকায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা থেকে পড়ে যাওয়া পুলিশ সদস্য আবু মুসা রেজোয়ানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে মইষা ঘাটা এলাকায় রোববার (৩০ আগস্ট) সকালে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে দেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাবার সাথে পানিতে পড়ে নিখোঁজ ৬ মাস বয়সের শিশু সন্তান আনাসের খোঁজ মেলেনি।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, মরদেহ তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৯ আগস্ট সকাল থেকে দুর্ঘটনাস্থলকে কেন্দ্র করে নদীর দুই কিলোমিটার পর্যন্ত স্রোতের গতিপথে তল্লাশি কার্যক্রম চালায় ডুবুরিদল। কিন্তু নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যহত হয় এবং সন্ধ্যায় তারা উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে চলে যান।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৬মাস বয়সের শিশু সন্তানসহ পুলিশ সদস্য আবু মুসা রেজোয়ান ইঞ্জিন চালিত ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ হন। এদিন একটি ট্রলারে করে মুসা তার পরিবারের ৬ জন সদস্য নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কাশিয়ানী উপজেলার কালনায় মধুমতি নদীতে বেড়াতে যান। এক পর্যায়ে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে পানির স্রোতে ট্রলারটি নির্মানাধীন কালনা ব্রিজের পিলারে গিয়ে সজোরে ধাক্কা লাগে। তখন পুলিশ সদস্য মুসা ও তার কোলে থাকা শিশুটি পানিতে পড়ে যায়। তার পর থেকেই বাবা-ছেলে নিখোঁজ হয়।
ট্রলার থেকে মধুমতি নদীতে পড়ে পুলিশ সদস্য ও শিশু পুত্র নিখোঁজ