ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বর থেকে: ফরিদপুরের আধুনিক ভাঙ্গা গোলচত্বর নির্মাণ হলো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ফল। ওই গোলচত্বরের সংযোগসড়কগুলো আধুনিকায়নের ফলে সেখানে একেবারেই নেই যাত্রী দুর্ভোগ। বরং অল্প সময়ের মধ্যেই পরিবহনগুলো যেতে পারছে গন্তব্যে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা মোড়সহ সংযোগসড়কগুলো একসময় ছিল ধুলা-বালিতে আচ্ছন্ন। আর বর্ষাকালে থাকত কর্দমাক্ত। এ কারণে এই মোড় পাড় হতে লাগতো দীর্ঘ সময়। ফলে দেখা দিত তীব্র যানযট। যার কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভাঙ্গা আধুনিক গোলচত্বর ও উন্নত সড়ক নির্মিত হয়। ফলে এখন কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারছে। নির্দিষ্ট লেন ধরে গাড়িগুলো কম সময়ে যেতে পারছে গন্তব্যে।
ভাঙ্গা গোলচত্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৪টি সড়ক। প্রত্যেকটি সড়কে রয়েছে ৪টি করে লেন। উত্তর দিকের সড়কটি ফরিদপুর জেলা শহর হয়ে দৌলতদিয়া এবং ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পশ্চিম দিকের সড়কটি খুলনা-বাগেরহাট-যশোর হয়ে বেনাপোলের সঙ্গে মিশেছে। দক্ষিণ দিকের সড়কটি মাদারীপুর হয়ে চলে গেছে বরিশাল। আর পূর্বদিকের সড়কটি পদ্মাসেতুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পদ্মাসেতু চালু হলে সড়কটি মিলিত হবে ঢাকার সঙ্গে।
ভাঙ্গা গোলচত্বরের পার্শ্ববর্তী এলাকার পারভেজ মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রত্যাশা ছিল এখানে আধুনিক গোল চত্বর ও মহাসড়ক নির্মাণ হোক। আমাদের সে প্রত্যাশা এখন পূর্ণ হয়েছে। আমরা সহজেই যেকোনো স্থানে যাতায়াত করতে পারছি। এছাড়া এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও উন্নতি হচ্ছে।’
খুলনাগামী রিপন নামে এক যাত্রী জানান, আগে এ গোলচত্বর পার হতে দীর্ঘ সময় লাগত। ধুলা-বালিতে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে যেত। কিন্তু গোলচত্বর ও মহাসড়কগুলো উন্নত হওয়ায় যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারছে। আমরা এতে খুবই আনন্দিত।
মূলত গোলচত্বরের সংযোগ সড়কগুলোর লেন ধরে কোনো প্রকার যানযট ছাড়াই পরিবহনগুলো অল্প সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। এই আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়ায় শুধু ভাঙ্গা নয়, এর আশপাশের অঞ্চলগুলোর অর্থনীতিতে আসতে শুরু করেছে ব্যাপক পরিবর্তন।