বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র সচিবদের সমন্বয়ে বিমসটেকের সিনিয়র অফিসার্স সভার (এসওএম) একুশতম অধিবেশন বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিমসটেক সদস্য দেশের সচিব / সিনিয়র কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান শ্রীলঙ্কা ২০২১ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে তাদের প্রস্তুতি কথা ব্যক্ত করেন। পরবর্তী বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
সচিবরা বিমসটেক কনভেনশনসহ ফৌজদারি বিষয়সমূহে পারস্পরিক আইনি সহায়তা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয় চূড়ান্ত করেছেন। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে বিমসটেক প্রযুক্তি স্থানান্তর সুবিধা (টিটিএফ) প্রতিষ্ঠার বিষয়ে স্মারকলিপিটির সমিতি, বিমসটেক চার্টার, এবং বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর ডিপ্লোম্যাটিক একাডেমি /প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক (সমঝোতা) এই আইনি সরঞ্জামগুলো পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তারা মহামারীটির বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বিমসটেক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা লাভের বিষয়ে সম্মত হন। বৈঠকে এই অঞ্চলে বৃহত্তর প্রকল্প সহায়তার তালিকা দেওয়ার জন্য বিমসটেক সচিবালয় এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারককেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বে-বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের একটি সাত-জাতীয় সংস্থা। ৫ম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে সংগঠনের সভাপতিত্ব থাইল্যান্ডে যাবে।
বিমসটেকের পরবর্তী সেক্রেটারি জেনারেল পদের জন্য ভুটান থেকে তেনজিন লেকফেলকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিবরা। সভায় তিন বছর মেয়াদে সংগঠনটিকে আরো প্রাণবন্ত করতে তার গতিশীল নেতৃত্ব এবং অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিমসটেকের বিদায়ী সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামেরও প্রশংসা করা হয়।