বেনাপোল বন্দরে ২ সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর) | 2023-08-31 15:16:32

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে ২টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা।

বাতিল হওয়া লাইসেন্স দুটি হলো- স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন রিমু এন্টারপ্রাইজ ও আব্দুর রশিদের মালিকানাধীন সানি এন্টারপ্রাইজ।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দুই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তাদের লাইসেন্সের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ছাড় করার চেষ্টা করে। এ সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য চালান জব্দ করে। পরে কাগজপত্র যাচাই করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে শুল্ক ফাঁকির অর্থ আদায় ও লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

এদিকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির সঙ্গে জড়িত আরও ১০ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে এনবিআর। ইতোমধ্যে মংলা কাস্টমসের কমিশনার হোসেন আহম্মদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি বিষয়টি অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে।

অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স গুলো হলো- মেসার্স শামছুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ রাতুল ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স জয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স অর্ণব এন্টারপ্রাইজ, সোহান ট্রেড, লিটন এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, মিলিনিয়াম এন্টারপ্রাইজ, আনুষা ইমপ্লেক্স ও জামান ট্রেডার্স।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, শুল্ক ফাঁকি রোধে কাস্টমসের পাশাপাশি তারাও সতর্ক আছেন। অবৈধভাবে পণ্য আমদানির কোনো তথ্য পেলে তারা কাস্টমসকে অবহিত করে থাকেন।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, শুল্ক ফাঁকিদাতারা যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোনো ছাড় নাই। অভিযুক্তদের কালো তালিকা করে তদন্ত চলছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে খুব দ্রুত তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর