মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য ৫ সেকেন্ডে সনাক্তের যন্ত্র এখন বাংলাদেশে

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 03:38:46

চট্টগ্রাম বন্দর ও বেনাপোল দিয়ে আসা মাদকদ্রব্য ও বিস্ফোরক পদার্থ ধরতে কাস্টমসে আসছে বিশেষ যন্ত্র ‘স্পেকটোমিটার’। এই বিশেষ যন্ত্রটির মাধ্যমে ১৩ হাজার কেমিক্যালের ভেতর যদি মাদকদ্রব্য ও বিস্ফোরক পদার্থ থাকে ৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের মধ্যে দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব হবে।

যন্ত্রটি সম্পর্কে বেনাপোল কাস্টমস হাউস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বার্তা২৪.কম বলেন, উন্নত বিশ্বে সরকারি সংস্থা, গোয়েন্দা ও কাস্টমস এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করে থাকে। আমরা এ প্রথম এই যন্ত্র পেলাম। যন্ত্রটি দিয়ে কোনো কেমিক্যালের ভিতরে যদি মাদকদ্রব্য বা বিস্ফোরকের উপাদান থাকে সর্বনিম্ন ৫ সেকেন্ড বা ১ মিনিটের মধ্যে  সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এতে কাস্টমসের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।

জানা গেছে, ‘স্পেকটোমিটার’ নামে এই যন্ত্রটি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, ঢাকা কাস্টমস ও বেনাপোল স্থলবন্দরে ব্যবহার করা হবে। এর জন্য তিনটি যন্ত্র পাওয়া গেছে। এই যন্ত্রটির অরিজিন আমেরিকার, ভারতীয় বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর রমন যন্ত্রটি আবিস্কার করেন। ‘স্পেকটোমিটার’ এর বাণিজ্যিক নাম ‘প্রেগেন্সি রেসকিউ হ্যান্ডহেল্ড রমন স্পেকটোমিটার’। যন্ত্রটি আমেরিকায় বাজারজাত  হচ্ছে। যন্ত্রগুলোর মূল্য ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা বলেও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কাস্টমসের কাছে বিশেষ এই যন্ত্রটি ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান হস্তান্তর করেন। যন্ত্রটি হাতে পাওয়ার পর চালানোর জন্য সহকারি কমিশনার বা উপকমিশনার পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যন্ত্রটি আসায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বেনাপোলের কাস্টমস উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পেল। ফলে দ্রুত সময়ে মাদক ও বিস্ফোরক  সানাক্ত সম্ভব হবে।

সাধারণত, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্যের সঙ্গে বিস্ফোরক পদার্থ আসছে কিনা নিশ্চিত হতে নৌবাহিনীর অধীন ডেঞ্জারাস কার্গো বিভাগে নমুনা পাঠিয়ে নিশ্চিত হতে হয়। এক্ষেত্রে এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়। তবে এখন থেকে ‘স্পেকটোমিটার’ মেশিন কাজে লাগানোর ফলে তাৎক্ষণিক ফল পাওয়া যাবে বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর