স্থলবন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-11 05:51:02

স্থলবন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক, আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ছয়টি স্থলবন্দর বিল অন ট্রান্সফার (বিওটি) পদ্ধতি বা প্রাইভেট কোম্পানিকে অপারেট করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। বর্তমানে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বেড়েছে। সেবার মাধ্যমে বন্দরের আয় বৃদ্ধি করা লক্ষ্য হওয়া উচিত। বেনাপোল স্থলবন্দরকে আরো যাত্রীবান্ধব উপযোগী করে তোলা হবে। যাত্রীসেবা সুযোগ সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ দেয়া হবে।

বৈঠকে জানানো হয় যে, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরে ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং অন্যান্য বন্দরে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ফায়ার এক্সটিনগুইসার চালু রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত স্থলবন্দর রয়েছে ২৪টি। এর মধ্যে ১২টি বন্দর চালু রয়েছে। ১২টির মধ্যে বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া, ভোমরা, নাকুগাঁও, তামাবিল ও সোনাহাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, টেকনাফ ও বিবিরবাজার স্থলবন্দর বিওটি ভিত্তিতে চালু আছে। বিরল স্থলবন্দর বিওটি ভিত্তিতে দেয়া হলেও এখনো সেটি চালু হয়নি। ২০০৭ সালে বিএনপি সরকার উল্লেখিত ছয়টি স্থলবন্দরকে বিওটি ভিত্তিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর