২০১৮ সালে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজের ভিত্তিস্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু দুই বছর পরেও স্থান নির্ধারণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ক্যাম্পাস স্থাপনের শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তবে এবার আশার আলো দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। রাজশাহী মহানগরী বড়বনগ্রাম, বারইপাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজায় ৬৭ দশমিক ৭৮২ একর জমি নির্ধারণ করে তা অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিলেই অধিগ্রহণ করে ক্যাম্পাসের ভবন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
রামেবি সূত্র জানায়, নির্ধারিত জমির ২১ দশমিক ৪৫১ একর রাজশাহী মহানগরীতে এবং মহানগর এলাকার বাইরে পবা উপজেলায় ৪৬ দশমিক ৩৩০ একর জমি রয়েছে। জমি অধিগ্রহণেও কোনো বাধা নেই। এলাকার বাসিন্দা ও জমির মালিকদের সাথে আলোচনা করেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে রামেবির মূল ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণেই কার্যক্রম আটকে ছিল। গত বছরের ১৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহানগরীর নওদাপাড়ায় রামেবি’র জন্য নির্ধারিত জমি দেখতে এসে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এরপর তিনি অন্য জায়গায় জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মাসুম হাবিবকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রামেবি সিন্ডিকেটের সদস্য ডা. নওশাদ আলী জানান, ‘প্রথমে মহানগরীর নওদাপাড়ায় যে জমিটি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকচ করে দিয়েছিল। ফলে কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে যায়। এবার দ্রুত মন্ত্রণালয় থেকে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন পেলে ভবন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।’
জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ‘নতুন জমি নির্ধারণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সেটা অনুমোদন হলে কর্তৃপক্ষকে জমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করবে।’