নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মৎস্য চাষের জন্য অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা পুকুর ও ডোবার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৫৮টি পাকা সড়ক। জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে নির্মিত এসব সড়কে পুকুর-ডোবার ভাঙনের ফলে বিঘ্ন হচ্ছে যান চলাচলে।
সড়কগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সড়কই বেশি। এসব সড়কের সঙ্গে যুক্ত করে পুকুর ও ডুবা খনন করে মাছ চাষ করার ফলে দিন দিনই সড়কগুলো ভেঙে পড়ছে।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কের জায়গা দখল করে এসব পুকুর-ডোবা খনন করছেন একশ্রেণীর অসাধু মৎস্য চাষি। তারা সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়কগুলোর টেকসই উন্নয়নের কথা না ভেবে ব্যক্তি স্বার্থে সড়কের সঙ্গে যুক্ত করে পুকুর ডোবা খনন করছেন।
সম্প্রতি কেন্দুয়া উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান। তিনি উপজেলার ৫৮টি পাকা সড়ক রক্ষায় যেসব পুকুর ও ডোবা সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত আছে, সেসব পুকুর-ডোবাগুলোকে অন্তত ১৫ ফুট ভরাট করার প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে কথা হলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অপরিকল্পিত মৎস্য চাষের জন্য যত্রতত্র পুকুর ও ডোবা তৈরি করা হচ্ছে এবং মাছ বড় করার জন্য রাসায়নিক সারও প্রয়োগ করা হয়। পানিতে সার প্রয়োগের ফলে মাটি নরম হয় এবং সড়ক দ্রুত ভাঙতে শুরু করে। এর প্রতিকারে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এ নিয়ে নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আপটাড়া) আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল বলেন, একটি সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়। জনস্বার্থেই এ সড়কগুলো করা হয়। সুতরাং সড়ক রক্ষায় পুকুর ভরাটে জনগণকেই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন।