লালমনিরহাটে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা কারাগার হতে ১৪ জন কারারক্ষী স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার ১৪ জনকে স্ট্যান্ড রিলিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের কারারক্ষী মেহেদি ও তার স্ত্রী কয়েক মাস আগে এই কারাগারে যোগ দেয়। মেহেদির সাথে আসামি শুভর বন্দি থাকা অবস্থায় পরিচয় হয়। এই সূত্র ধরে তাদের বিরুদ্ধে কারা অভ্যন্তরে গোপনে মাদক পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুভ জামিনে মুক্ত পেয়ে কারারক্ষী মেহেদির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে কারারক্ষী মেহেদির মাদক সেবন ও মাদক পাচারের ছবি ভিডিও করে। তাকে মাদক সেবনের সময় আটক করে অর্থ আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে গোপনে মাদক সেবনের ভিডিওটি দিয়ে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে। এই ভিডিও ছবি দেখিয়ে বেশ কয়েকজন প্রতি মাসে অর্থ আদায় করে আসছিল। কারারক্ষী মেহেদি বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৪ জনের মাদকের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রোববার ১৪ জনকে স্ট্যান্ড রিলিজের অর্ডার আসে।
এদিকে কয়েক মাস আগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ কারারক্ষী ও চালক পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক মামলা দিয়ে কোর্টে সোপর্দ করা হয়। পরের দিনেই তারা জামিন পায়। এদিকে ৭/৮ মাস আগে জেলখানার ফার্মাসিস্ট সানওয়ারকে নারী ও ইয়াবাসহ স্থানীয় গ্রামবাসী ধরে ফেলে। পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে তাকেও অন্যত্র বদলি করা হয়।