খুলনা: বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবিটি যেন মিশে থাকে। মাঠের পর মাঠ কৃষকের স্বপ্নে বোনা সবুজে ঘেরা ফসল, ফসলের মাঠে সাদা বকের রাজত্ব, নদীপথে পালতোলা নৌকা, নদীর তীরে গাংচিলের বিচরণ, আঁকাবাঁকা মেঠো পথে শিশুদের দুরন্তনা, গ্রামের পর গ্রাম সবুজের সমারোহ এ সবই যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা।
কবির ভাষায়, ‘এ কি অপরুপ রুপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী। ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনি। রৌদ্রতপ্ত বৈশাখে তুমি চাতকের সাথে চাহ জল, আম কাঁঠালের মধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠে মাতাও তরুতল। ঝঞ্ঝার সাথে প্রান্তরে মাঠে কভু খেল ল’য়ে অশনি।’
কবির ব্যাখ্যার মতোই খুলনার বটিয়াঘাটায় গেলে এমন দৃশ্য নজর কাড়বে পথিকের। বটিয়াঘাটা ব্রিজ পার হয়ে কাজীবাছা নদীর পাড় ধরে দাকোপের পথে যেতে রাস্তার দু’পাশের গ্রামীণ পরিবেশ মনকে আন্দোলিত করে। বাঙালির সঙ্গে পল্লীগ্রামের প্রকৃতির এমন রূপ যেন সম্পর্কযুক্ত।
গ্রামাঞ্চলের এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ঋতুর রাণী শরৎকাল। আকাশে মেঘের ভেলা ভাসিয়ে শুভ্রতা ছড়ানো শরতে গ্রামের রূপ আরও ফুটে উঠেছে।