পীরগাছায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি করোনা আতঙ্ক

, জাতীয়

আমিনুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পীরগাছা (রংপুর) | 2023-08-27 01:15:00

রংপুরের পীরগাছায় সর্দি-কাশি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়েছে। গত ৭ দিনে শিশুসহ প্রায় পাঁচ শত ব্যক্তি এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। একই সময়ে প্রায় ৫৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

গত কয়েক দিন থেকে উপজেলাজুড়ে দিনে প্রচণ্ড গরম ও রাতে ঠান্ডা পড়া অব্যাহত রয়েছে। এতে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই সর্দি-কাশি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ মে উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। অন্যদিকে উপজেলাজুড়ে ৬৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে ১১৫ জন আক্রান্ত হলেও এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৯০ জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো একজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেশির ভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ সর্দি-কাশি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধার সংখ্যায় বেশী। নিজেদের মধ্যে করোনা ভীতি থাকলেও তারা নমুনা পরীক্ষায় হাসপাতাল মুখী হচ্ছে না। স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিতে তারা ফার্মেসিগুলোতে ভিড় করছেন। তাদের বেশির ভাগই নিজেদের উপসর্গের কথা বলে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন।

অনেকে আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এভাবে চিকিৎসা নিয়ে অনেকে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরেই এখন এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের প্রায় প্রত্যেকের শরীরে করোনা উপসর্গ থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই। মৌসুমী সর্দি-কাশি-জ্বর মনে করে অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সামাজিক বিড়ম্বনাসহ নানা কারণে জ্বর-সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তরা করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন, মৌসুমি জ্বর সাধারণ চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যাবে।

পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক দিনে উপজেলায় সর্দি-কাশি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশী। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে অর্ধশত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকের করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর