‘তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে চট্টগ্রামের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে’

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 17:47:32

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য, কর্মসংস্থান এবং পর্যটন স্থাপনাগুলো হুমকির মুখে পড়তে পারে।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গবেষণা রিপোর্টে এমন তথ্য দাবি করেছে। বায়ুদূষণ নিয়ে গবেষণা করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসছে।

কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিবেশের ওপর কী ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে তার ওপর গবেষণা করা হয়। ফিনল্যান্ডের গবেষক লরি মিলিভারটা গবেষণাটি পরিচালনা করেন।

সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, কোল পাওয়ার প্ল্যান্টের কারণে মহেশখালী দ্বীপের বাসিন্দারা বেশিরভাগই বাস্তুহারা হবে। ২৬টি বড় প্রকল্পের মধ্যে সরকার ১৭টি প্রকল্পের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে। মহেশখালীর কোহেলিয়া নদী ভরাট হয়ে গেছে, ভূমি অধিগ্রহণের ফলে লাল কাঁকড়া বিলুপ্ত হয়ে গেছে, ডলফিন অভয়ারণ্য হারাচ্ছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে চার প্রজাতির কচ্ছপ প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে। মহেশখালী ও সোনাদিয়া দ্বীপে বিপন্ন চার প্রজাতি বিলুপ্ত হবে। ওই দ্বীপের বাসিন্দাদের ৫৫ শতাংশ লবণ চাষি, ১৫ শতাংশ পান চাষি এর বাইরে মৎস্যজীবীরাও তাদের জীবিকা হারাবে।

পরিবেশ আন্দোলন বাপার কক্সবাজার জেলার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ১৭টি আন্দোলন করেছি। কক্সবাজার যে সৌন্দর্যের রানী ছিল সেটা এখন ধ্বংসের পথে। এখানকার বনাঞ্চল কেটে শেষ করা হয়েছে। কক্সবাজারে আগামী ৫ বছর পর আর কোনো মিষ্টি পানি পাওয়া যাবে না।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায় সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসেসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ ই মাহবুব, মো. খালেকুজ্জামান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক শরিফ জামিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর