কমছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট | 2023-08-23 20:07:45

গতকয়দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও শুক্রবার দুপুর থেকে তা কমতে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। তবে তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে নদীর পাড়ের বসতভিটা, ফসলি জমি ও স্থাপনা।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ৬০ সে.মি.) চেয়ে ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। দিনভর বিপৎসীমা ওপর দিয়ে পানি প্রবাহের ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বামতীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল।  শুক্রবার সকাল থেকে কমে বিকেল ৫টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ।

পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ

তিস্তার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতিও অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এ বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। তারাও মুক্ত হতে শুরু করেছেন। বন্যার পানিতে তালিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত। পানির স্রোতে ভেসে গেছে মৎস চাষিদের স্বপ্ন।

এ দিকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। তীস্তার বাম তীরের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গত রাত থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে শুরু করে। কিন্তু  শুক্রবার সকাল থেকে ৬টা থেকে তা নেমে আসে এবং বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে বন্যা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর