দেশে বেগুন চাষাবাদে নতুন এক মাত্রা যোগ করল পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। এর নাম বারি বেগুন-১২। বেগুনের এই জাতটি ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
অন্য বেগুনের থেকে আকারে বেশ বড় হবে এটি। এর প্রতিটি বেগুনের ওজন হবে দেড় কেজি। এই বেগুন সবুজ এবং কালো দুটি রংয়ের হবে। এই বেগুনে বীজের পরিমাণ অনেকটা কম। খেতেও অন্য সব বেগুনের থেকে সুস্বাদু। এই বেগুন থেকেই কৃষকরা বীজ সংগ্রহ করতে পারবে।
উদ্ভাবিত এই বেগুনের চাষাবাদ কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষি অর্থনীতিতে এটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশেষ করে লবণাক্ততা সহনশীল জাত হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ বছর গবেষণা করে বেগুনের এই জাতটি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা।
পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, এই অঞ্চলের আবহাওয়ায় বেগুনটির ফলন ভালো হবে। এটি উৎপাদন করতে পারলে স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে লাভবান হতে পারবে কৃষকরা।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র লেবুখালীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইদ্রিস আলী হাওলাদার জানান, অন্যান্য বেগুনের থেকে বারি বেগুন-১২ এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। একর প্রতি বেগুনের ফলন ৩৫ থেকে ৪০ টন পর্যন্ত হয়। বেগুন চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার কম লাগে।
এ বছরের ২৬ জুন বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগ থেকে বারি বেগুন-১২ নামে এই জাতটির সনদ প্রদান করা হয়েছে।