মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-23 03:38:49

বাবা-মা, পরিবার-পরিজন হারিয়েও নিজের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা দেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য জীবননাশের হুমকি হাতে নিয়েও সংগ্রাম করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনকে সামনে রেখে এক বিশেষ ওয়েবিনারে এমন কথাই ব্যক্ত করেছেন আলোচকরা।

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।

রাত সাড়ে ৮টায় প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।

আলোচনায় যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৯৮১ সালে যেদিন শেখ হাসিনা এদেশে আসলেন, সেদিন ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ। আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে বরণ করেছি সেদিন, আমাদের সব আছে কিন্তু তার মা নেই, বাবা নেই, ভাই নেই। তবুও তিনি এদেশের মানুষের গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছেন, একই সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কথা বলার অধিকার দিয়েছেন। দিয়েছেন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, দেশের বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা তখন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন। ১৯৮১ সালের পর দেশে এসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, সংগ্রাম মুখর জীবন একদম পরিবার থেকে দেখে আসছেন শেখ হাসিনা। বাবা-মায়ের সংগ্রামের যে মূল লক্ষ্য, মানুষের জন্য যে ভালোবাসা তা শেখ হাসিনা পরিবার থেকে ধারণ করেছেন। সকল ঝুঁকি জেনেও দেশে এসেছেন তিনি। বাংলার মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। বাঙালিও কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গ্রহণ করেছে ভালোবাসা দিয়ে। সব রকম শঙ্কা নিয়েও নিজের ভাগ্যের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছেন তিনি। এ কারণে নিজের জীবন বিপন্ন করেছেন। তিনি হয়েছেন অবিসংবাদিত নেতা। তরুণদের কাছে বলতে চাই ইতিহাস জানো। যেই শিশুটি আজ জন্মাবে তাকে এই ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস জানতে হবে।

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে এগিয়ে চলছেন না, তিনি রয়েছেন মানব ধর্মে। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমাদের পৌঁছে দেবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর