গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধিসহ ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়েছে। এতে রোপা আমন ধান ও শাক-সবজিসহ প্রায় ৪ হাজার ২৪৫ হেক্টর ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, গাইবান্ধা জেলায় গত কয়েকদিন অব্যাহত ছিল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল। এতে করে জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকার বিভিন্ন কৃষি ফসলের মাঠ।
এর আগে চার দফার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সম্প্রতি রোপণ করেছিলেন আমন ধান এবং শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল। এসব ফসল ঘরে তুলে মৌলিক চাহিদা মেটাবেন, এমনটাই স্বপ্ন দেখছিলেন তারা । কিন্তু ফের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে তাদের স্বপ্নের ফসলগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত পোহাতে হচ্ছে তাদের।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, গেল বন্যায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৩ বিঘা জমিতে আমন চারা রোপণ করেছিলেন। ফসলের মাঝামাঝি সময়ে এসে টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ক্ষেত। ঋণ করে এ ফসল বোনায় এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
সবজি চাষি খাজা মিয়া জানান, শীতকালীন সবজি হিসেবে এক বিঘা জমিতে মূলা ও লাল শাকের বীজ বপন করেছি। ইতিমধ্যে গজানো শুরু করেছে। এরই মধ্যে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ রয়েছে সবজি ক্ষেত। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অতি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার ৭ উপজেলায় রোপা আমন ধান ৩ হাজার ৮৬০ হেক্টর, শাক-সবজি ৩৪৫ হেক্টর ও মাসকালাই ৪০ হেক্টর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব ফসল রক্ষায় কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।