রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলম।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয় রাষ্ট্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তার।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় মাহবুবে আলমের। বেইলি রোডের সরকারি বাসা থেকে তার মরদেহ আনা হয় সেখানে। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে মরদেহবাহী গাড়ি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের দিকে রওনা হয়। ১০টা ৪১ মিনিটে গাড়িটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। এসময় মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ দীর্ঘদিনের সহকর্মী আইনজীবীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মাহবুবে আলমের জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সালেহ মো. সলিম উল্লাহ। জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের (আপিল ও হাইকোর্ট) উভয় বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ দেশের বিভিন্ন বার থেকে আগত আইনজীবী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গত ৪ সেপ্টেম্বর জ্বর ও গলা ব্যথা নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন। ওই দিনই তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি করোনামুক্ত হন। সেদিন পরীক্ষায় করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু এরপরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।