মুজিব বর্ষ উদযাপনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে এবং ‘পরম্পরা’ নামে দুটি ভ্রাম্যমাণ বই বিপণির যাত্রা শুরু করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে পরম্পরা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাড়ি দুটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।
বিশেষ এই আয়োজন উপলক্ষে ‘পরম্পরা’ নামে দুটি ভ্রাম্যমাণ বই বিপণি উদ্বোধন করেন অতিথিরা। বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর রচিত ও প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ‘পরম্পরা’র যাত্রা। পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানানোর জন্যই এই আয়োজন।
প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ বই বিপণিতে একটি করে বড় টেলিভিশন রয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্মিত বিভিন্ন তথ্যচিত্র দেখানো হবে । পরম্পরা নামের এই গ্রন্থাগার ২টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ড প্রদিক্ষণ করবে। প্রাথমিকভাবে উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্পট, যেমন পার্ক, মাঠ বা লোকজন আসে এমন খোলা জায়গায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এখান থেকে স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানতে পারবে এবং জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, দেশের প্রতি তার অবদান এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে জনগণকে জানাতে ৬ মাসের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আমাদের। এটি খুবই সামান্য। তারপরও স্বল্প সময়ের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সফল হবে বলে বিশ্বাস করি।
এছাড়াও প্রথম দিনের আয়োজনে আরও ছিল, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তার ওপর দেশের নামকরা ৮ জন চিত্রশিল্পীর লাইভ চিত্রকর্ম, কবিতা আবৃত্তি, শিশুদের জন্য ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী।