গণ-মানুষের কল্যাণে নাগরিক সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো সদস্য যত বেশি ইতিবাচক কাজ করবেন ততবেশি পুরস্কার ও প্রণোদনা প্রদান করা হবে।
সমন্বিত উন্নয়নের জন্য জনবান্ধব পুলিশিং এর কোনো বিকল্প নেই, সেজন্যই আমরা পুলিশিং সেবাকে নাগরিকদের দোরগোড়ায় নিতে চাই। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রাক্কালে সুন্দরবনের নিখোঁজ হওয়া ৬ কিশোর উদ্ধারে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছেন, এটি তারই প্রমাণ। ২৮ মে সেই উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশের সাহসী সদস্যবৃন্দ এবং পুলিশকে আন্তরিকভাবে সহায়তাকারী স্থানীয় নাগরিকদের বিশেষ পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এরকম অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এর এক সদস্য, বাগেরহাটের ধানসাগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ৭ পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় চারজন নাগরিককে আইজিপির পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা, সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি উল্লেখ করেন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ আমাদেরকে ত্বরান্বিত, গতিশীল এবং সমন্বিত সেবা প্রদান করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
আইজিপি বলেন যে, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নানা প্রান্তে নানাভাবে ইতিবাচক নাগরিক বান্ধব কাজ করে চলেছে। সেইসব ভালো কাজ আমাদের দৃষ্টিতে আনতে হবে, যাতে আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তাদেরকে প্রণোদনা প্রদান প্রদান ও পুরস্কৃত করতে পারি।
তিনি এও উল্লেখ করেন যে, সুন্দরবনে নিখোঁজ ৬ কিশোর উদ্ধারের মডেলটি স্থানীয় নাগরিক ও পুলিশের মেলবন্ধনের একটি দৃষ্টিনন্দন ও অনুকরণীয় উদাহরণ। ভালো কাজের কোনো শেষ নেই। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত অধিকতর ভালো কাজ করে যেতে হবে।
উক্ত সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপিবৃন্দ, ডিআইজিবৃন্দসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।