রাজশাহীতে গির্জায় আটকে রেখে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2023-08-06 06:21:26

রাজশাহীতে একটি গির্জায় তিন দিন এক কিশোরীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জেলার তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা মাহালিপাড়া এলাকার সাধুজন মেরি ভিয়ান্নি গির্জায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্ষণের অভিযোগ গির্জার ফাদার প্রদীপ গ্যাগরীর (৫০) বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তানোর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি রাকিবুল হাসান জানান, ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আর সালিস বৈঠকের পর থেকে গির্জার অভিযুক্ত ফাদার পলাতক।

ওসি বলেন, ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হবে।

নির্যাতনের শিকার আদিবাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী গত শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন রোববার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই।

এরপর সোমবার দুপুরের পর জানা যায়, নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে বন্দী অবস্থায় আছে। পরে কিশোরীর পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।

এরপর সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরেই সালিস বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। আর ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গির্জার ভেতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়। আর বলা হয়, ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা থানা থেকে নিখোঁজের জিডি প্রত্যাহার করে নিলে তাকে পরিবারের কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর খরচ বহন করবে গির্জা কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই কিশোরীর ভাই থানায় গিয়ে জানান তার বোনকে পাওয়া গেছে। কিন্তু তারপরও ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে দেওয়া হয়নি। গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও সালিসি বৈঠকের প্রধান কামেল মার্ডি তাকে আটকে রেখেছেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর