রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরা সহজতর হতে পারে। আগামী নভেম্বরে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আশা করছে যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়ালি কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন আয়োজিত ডিক্যাব টকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অত্যাচারের বিচার জবাবদিহিতায় আনতে আমরা আইসিসি সহ সকল ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর। রোহিঙ্গা ফেরাতে কফি আনান কমিশন ২০১৭ সালে যে সুপারিশ করেছিল সেটাই উপযুক্ত ছিল। কিন্তু সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এটি খুবই ইতিবাচক এতো বিস্তৃত মহামারির মধ্যে মাত্র ২৫০ জন রোহিঙ্গা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বের সকল দেশকে আক্রান্ত করেছে। এটি সকলে একত্রে মিলে মোকাবিলা করতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, অক্সফোর্ডের টিকার নিরীক্ষা বাংলাদেশে করার কথা এখনই ভাবা হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা আবিষ্কারের পরীক্ষা হচ্ছে। কোন দেশ টিকা সফলভাবে আনতে পারে তার ওপর বিভিন্ন দেশের পদক্ষেপে এটি প্রাপ্যতা নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বে বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জ কিন্তু জলবায়ু সংকট দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অভিযোজন ইস্যুতে বিশ্বে উদাহরণ।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।