আইনজীবীদের বেনাভোলেন্ট ফান্ডের পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৬২৫ টাকা আত্মসাৎ করার প্রমাণ মেলায় বগুড়া অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফে গালিব আল জাহিদ ও সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক ভবিষ্যতে আর কখনও বার সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এছাড়াও এই তিন আইনজীবীকে সাত দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার(৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া বারের গওহর আলী ভবনে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তিনি আইনজীবীদের বেনাভোলেন্ট ফান্ডের পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৬২৫ টাকা টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে তাঁর তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা অনতিবিলম্বে তাঁকে পরিশোধ করতে বলা হয়। অন্য দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় আগামী সাতদিন তারা বগুড়ার আদালতে আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
এছাড়াও বিগত সময়ে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম টুকু, অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী এবং অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তাদের বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে কথা উঠলে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান ও অ্যাডভোকেট জিএম খায়রুজ্জামানকে প্রধান করে আলাদা আলাদা তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী সাধারণ সভায় তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়। উক্ত তদন্তে অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে বর্তমান কমিটি।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বগুড়া জেলা বিএনপি’র বর্তমান আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ সাধারণ সভায় সভপতিত্ব করেন বগুড়া বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক।
সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। এসময় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট পিপি আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, অ্যাডভোকেট লুৎফে গালিব, অ্যাডভোকেট আশেকুর রহমান সুজন, অ্যাডভোকেট নরেশ মূখার্জ্জী, অ্যাডভোকেট মেশকাতুল আলম চিশতী। উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট আশরাফুল ইসলাম সুরমা, অ্যাডভোকেট আল মামুন, অ্যাডভোকেট জয় প্রমুখ।