মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর এলাকা থেকে লাকী আক্তার (১৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে লাকীর স্বামী রতন মিয়া পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার (০২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে লাকীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
লাকী আক্তার ঢাকার ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের কিশোরীনগর এলাকার আব্দুর রহমানের বোনের মেয়ে।
এ বিষয়ে লাকীর মামা আব্দুর রহমান বলেন, বিয়ের কিছুদিন পরই সড়ক দুর্ঘটনায় তার বোন মারা যায়। পরে বোন জামাই অনত্র বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। এরপর থেকে লাকীকে লালন পালন করেন তিনি। লাকী নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় রতন মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। রতন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে কর্মরত।
১০ দিনের ছুটিতে সোমবার বাড়িতে আসে রতন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে লাকী মারা যাওয়ার বিষয়টি ফোনে জানতে পেরে রতনদের বাড়ি যান তিনি। পরে মধ্যরাতে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাকীকে মারধর করে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সকালে রতনের মা ছবিয়া বেগম বলেন, ছেলের বউ লাকীকে নিয়ে সুখেই ছিলেন তিনি। লাকী স্থানীয় বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তবে লাকী কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। লাকী মারা যাওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রেফতার এড়াতে রতন বাড়ি ছেড়ে কোথায় গেছে সে বিষয়েও তিনি অবগত নন বলে মন্তব্য করেন।
রতনের বাবা আব্দুল হালিম বলেন, ছেলে রতনের সেনাবাহিনীতে কর্মরত হওয়ার পর টাকার প্রয়োজন হলে পারিবারিকভাবেই বিয়ে করানো হয়। বিয়ের পর থেকে তারা বেশ সুখে শান্তিতে ছিলো। ছেলেও ছুটি নিয়ে বাড়িতে রয়েছে। লাকী আত্মহত্যার সময় ছেলে তার পাশের কক্ষেই ছিলো। এই সময়ের মধ্যে লাকী আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার বিষয়টি কল্পনাতিত বলে জানান তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন শেষে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।