চট্টগ্রামের বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার পরে স্বজনদের না জানিয়ে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সংকটাপন্ন অবস্থায় রোগী নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় রোগীর পিতা বশির আহমেদ রোববার (৯ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় তিন চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, ড. আর রহমান, ড. তপন ও ড. আবদুল আহাদ।
রোগীর নাম আবু তালেক লিমন (২৫)। তার গ্রামের বাড়ি চকরিয়ার হারবং মচ্ছিনা কাটার সাত নম্বর ওয়াড়ে।
জানা যায়, ৩ সেপ্টেম্বর আবু তালেক লিমন ডান পায়ের হাটুতে গুরুতর ব্যথার কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে এক দালালের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকায় দ্রুত সুস্থ করার আশ্বাস দিয়ে নগরীর বেসরকারি পিপলস হাসপাতালে ভর্তি করেন। ৫ সেপ্টেম্বর তালেকের অপারেশন শেষে স্বজনদেন না জানিয়ে বিকালে তাকে বেসরকারি হাসপাতাল সার্জিস্কোপে ভর্তি করা হয়।
পরে স্বজনরা জানতে পারে তালেক মুমূর্ষু অবস্থায় সার্জিস্কোপ হাসপাতালের ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোগীর পিতা বশির আহমেদ বার্তা২৪.কমকে অভিযোগ করেন, হাটুর ব্যথায় ভুল অপারেশন আমার ছেলে আজ মৃত্যুর মুখে। আমি এর বিচার চাই।
রোগীর বর্তমান অবস্থা জানতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় সাজিস্কোপ হাসপাতালে অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে পিপলস হাসপাতালে গেলে তালেকের অপারেশনেরর দায়িত্ব পালন করা ডাক্তার সুভাস চন্দ্র সূত্রধরকে পাওয়া যায়নি। এরপরে মুঠোফোনে তিনি এ ধরনের কোনো কিছু জানা নেই বলে বার্তা২৪.কমকে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহি উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। দুটি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করছি।