কুড়িগ্রামে দীর্ঘমেয়াদি বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি

, জাতীয়

মোঃ জুয়েল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-29 00:41:03

কুড়িগ্রামে দফায় দফায় বন্যায় কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধার-দেনা করে করা আমন আবাদের ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় এ অঞ্চলের কৃষকরা। নিজেদের খাবারতো জুটবেই না খাদ্যাভাবে পড়বে পোষা গবাদিপশুরাও। এ অবস্থায় সরকার সহায়তা না করলে আগামী মৌসুমে জমি পরিত্যক্ত থাকারও শঙ্কায় আছেন তারা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমি। তবে অর্জন হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮শ ৫ হেক্টর। কয়েক দফা বন্যায় কৃষকের বেশ ক্ষতি হয়েছে। সর্বশেষ চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় আমন ধান রোপব হয়েছিল ১৮ হাজার ৮ ২০ হেক্টর জমিতে। তবে তা সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ৯ হাজার ৮৭ হেক্টর জমি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ীতে।

কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের মোক্তার আলী, নুরুল ও কয়ছার আলী জানান, ধার দেনা করে চাষ করা আমন ধানের ক্ষেত সব বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। সাথে গবাদি পশুগুলোও না খেয়ে থাকবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার কোনো উপায় নেই। তাই সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করি।

দীর্ঘমেয়াদি বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পরপর ৩ দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বাইরের জেলা থেকে আমন চারা কিনে এনে লাগিয়েছিলেন। সেগুলোও ৫ম দফা বন্যায় আবার নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামসুদ্দিন মিঞা জানান, কুড়িগ্রাম একটি বন্যা প্রবণ জেলা। এ বছরে এখানে কয়েক দফা বন্যা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে আমরা নির্ধারণ করেছি এবং তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছি। সেখান থেকে যে সহযোগিতা আসে সেটা আমরা কৃষকদেরকে দেয়ার জন্য সচেষ্ট থাকবো। আগামী রবি মৌসুমে কৃষকরা যেন এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে এজন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। পঞ্চম দফা বন্যায় জেলায় ৮৭ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর