সোনার বাংলা এক্সপ্রেস থেকে: আখাউড়া-লাকসাম রেলপথকে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার কাজ পুরোদমে চলছে। ধীরে ধীরে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের কাজের অগ্রগতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হয়েছে মোট প্রায় ৬৯ শতাংশ।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় ট্রেনটি আখাউড়া-লাকশাম সেকশনে পোঁছালে সরেজমিনে দেখা যায়, এগিয়ে চলা আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ।
ট্রেনের জানালা দিয়ে আরো দেখা যায়, এরই মধ্যে এই প্রকল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে বেশির ভাগ জায়গায় পুরোপুরি রেল লাইন বসানো হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও আবার কেবল মাটি ভরাট করে লেভেলিং এর কাজ চলছে। কিছু জায়গার আবার লেভেলিং শেষে পাথর ফেলা হয়েছে। স্লিপার বসানোয় অপেক্ষায় আছে। একইসাথে সেতু এবং কালভার্টও অনেক জায়গায় দৃশ্যমান হয়ে গেছে।
তাছাড়া, এই লাইনে ১৩টি বড় সেতুসহ মোট ৪৬টি ছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
এদিকে, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণকাজ শেষ হলে। আগের চেয়ে ট্রেনে চলাচলের সময় ২৫ মিনিট কমে আসবে।
প্রকল্পে সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের রুট হলো ৭২ কিলোমিটার এবং এর ট্রাক হলো ১৪৪ কিলোমিটার। এছাড়া ইয়ার্ড, লুফ লাইনসহ মোট ১৮৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে।
এদিকে, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথটি বর্তমানে সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ অবস্থায় আছে। এই রেলপথকে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৪ সালে অনুমোদন পায়। সব জটিলতা কাটিয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয়।
চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার যৌথভাবে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করছে । ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
কাগজে-কলমে চলতি বছরে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের বাস্তাবায়ন মেয়াদ আরো বাড়বে বলে জানা গেছে।