গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, বিপাকে কৃষক

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-26 00:32:14

গাইবান্ধা জেলায় কয়েক দফা বন্যার কারণে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। গৃহপালিত এসব গবাদি পশুর খাদ্যের যোগানে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। এটি মোকাবিলায় কচুরিপানা সংগ্রহে বিভিন্ন খাল-বিলে ছুটছে তারা।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার জামালপুর ইউনিয়নের নাগবাড়ী এলাকার চোঙ্গার বিলে দেখা গেছে এমন চিত্র। সেখানে জমে থাকা কচুরিপানা কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন একদল কৃষক।

জানা যায়, গাইবান্ধার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেকটি বাড়িতে রয়েছে দেশিয় জাতের ২ থেকে ১০ টি গরু। এমন কোন বাড়ি নেই যে, তাদের বাড়িতে গরু-বাছুর নেই। এসব গবাদি পশু প্রতিপালনে খোলা মাঠে বেঁধে ঘাস খাওয়ানো হয়। এভাবে দুগ্ধগাভী ও এঁড়ে গরু মোটাতাজা করে থাকেন কৃষকরা। এসব গরুর দুধ ও গরু বিক্রি করে বার্ষিক প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করে অনেকে। কিন্তু চলতি বছরে ৪ দফা বন্যায় পানিতে তলিয়ে রয়েছে মাঠ-ঘাট। ফলে গবাদি পশুর দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। এছাড়া বেড়েছে খড়পল ও নেপিয়ার ঘাসের দাম। এ কারণে চরম বিপাকে পড়েছে গৃহপালিত পশু মালিকরা। তাদের গরুগুলো বাঁচাতে নানা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। অনেকে বিভিন্ন খাল-বিলে জমে থাকা কচুরিপানা গলাপানিতে নেমে সংগ্রহ করছে। দিনদিন সেটিরও অভাব দেখা দিচ্ছে। কেউ কেউ গরুর খাদ্য যোগানে ব্যর্থ হয়ে কম দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে ক্ষতির শিকার হচ্ছে কৃষকরা।

গোলজার রহমান নামের এক কৃষক বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘চলতি বন্যায় খেয়ে গেছে ফসলাদির ক্ষেত। অন্যদিকে নিজেদের খাদ্যাভাবসহ ৫টি গরুর খাদ্য যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই কচুরিপানা কাটতে চোঙ্গার বিলে এসেছি।’

গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আব্দুস ছামাদ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘গো-খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ইতোমধ্যে ১৬ লাখ টাকা খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া রোগবালাই প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর