হালিশহরের নয়াবাজার নাহাদাতুল উম্মে মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে হত্যা হিসেবে দাবি করলেও পুলিশ বলছে ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রের নাম শাহরিয়ার আলম (১৪)। নিহতের মা শারমিন আক্তারের অভিযোগ মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে মারধরের কারণে মারা গেছে তার ছেলে শাহরিয়ার।
শাহরিয়ার নাহাদাতুল উম্মে মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র এবং এনায়েতবাজার এলাকার শাহীন আলমের ছেলে।
নিহত শাহরিয়ারের মা শারমিন আক্তার বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে মাদ্রাসার মনির হুজুর আমাকে টেলিফোনে বলে শাহরিয়ার অসুস্থ। এরপর আমরা মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি শাহরিয়ারের গায়ে আঘাতের চিহ্ন। তাকে মারধর করা হয়েছিলো। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডেকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে মাদ্রাসা ছাত্রবাসে পিটিয়ে মারা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক দাবি করছি।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, রাতে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে হালীশহর থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ছাত্রটি পরনের লুঙ্গি পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমনটি ধারণা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে চমেক হাসপাতাল থেকে শারিয়ার লাশ এনায়েত বাজারের বাসায় নিলে পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম। আত্মীয় স্বজনরা এটিকে হত্যা উল্লেখ করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
শাহরিয়ার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার লালমায় এলাকায়। দীর্ঘদিন থেকে তার বাবা এনায়েত বাজারে ভাড়া বাসায় থাকেন।