করোনা ভাইরাস এর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) যৌথভাবে যে গবেষণা ফলাফল জানিয়েছে তাতে সমগ্র ঢাকার করোনার চিত্র তুলে ধরা হয়নি বলে আইইডিসিআর এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আইডিসিআর এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ বিশ্বমহামারী পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি-র যৌথ গবেষণার অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গবেষণাটি গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমূহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। গবেষণাটি ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র তুলে ধরেছে বলে দাবি করা হয়নি। কিন্তু কোনো কোনো গণমাধ্যমে গবেষণাটিতে সমগ্র ঢাকা মহানগরীর চিত্র তুলে ধরেছে বলায় এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এত কম সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার ফলাফলকে সমগ্র ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বকারী চিত্র বলে সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না। ঢাকা মহানগরীর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হলে ভবিষ্যতে প্রতিনিধিত্বমূলক সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে আরো বড় পরিসরে গবেষণা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমূহকে আমাদের এ বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে বিভ্রান্তি নিরসনে সহায়তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, (১২ অক্টোবর) করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর বিষয়ে এক সেমিনারে বলা হয়, রাজধানী ঢাকার ২৫টি ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে। গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরে ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বস্তি এলাকার ৭৪ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব বয়সী ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীর পরিমাণ ১৮ শতাংশ।গবেষণার জন্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়। প্রতি মহল্লা থেকে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ৮টি বস্তিকে এ জরিপে যুক্ত করা হয়। ঢাকা শহরের সাধারণ খানার নমুনা সংগ্রহ করা হয় মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত। আর বস্তির মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত।