‘যারা তৃণমূলে পড়ে আছে, তারা এদেশের মালিক’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 06:08:09

প্রজাতন্ত্রের উদ্দেশ্যে জাতির পিতার বক্তব্যের কথা স্মরণ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে যারা নবীন কর্মচারী তাদের কিন্তু এই কথাটাই মনে রাখতে হবে। এই দেশের গরিব মানুষগুলি এখনো যারা সেই তৃণমূলে পড়ে আছে, তারা এদেশের মালিক। আর তাদেরই ঘর থেকে সবাই লেখাপড়া শিখে আজকে উঠে এসেছেন। কাজেই সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের সেবা করাটা হবে সবথেকে বড় দায়িত্ব।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ৭০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসকথা বলেন। গণভবন থেকে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ৭টি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আজকে যারা সনদ নিচ্ছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। কারণ আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসাবে জনগণের সেবা করবেন। কাজেই জনগণের সেবার জন্যই আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন।

করোনাভাইরাস এমন একটা সমস্যা যেটা শুধু সারা বাংলাদেশ না, সারাবিশ্বটাকেই যেন স্থবির করে দিয়েছে। এর মাঝেও বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, আমরা যদিও ভ’খন্ডের দিক থেকে খুবই ছোট জনসংখ্যার দিক থেকে বড়।আমাদের সমস্যা অনেক বেশি কিন্তু তার মাঝেও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু কওে অর্থনৈতিক সামাজিক সব ধরনের অবস্থানগুলি যেন অব্যাহত থাকে, আমাদের মানুুষ যেন সেবা পায়, মানুষের যেন ভোগান্তি কম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জাতির পিতা এ দেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এবং আমরা যে বাঙালি জাতি, আমাদের একটা স্বকীয়তা আছে আমরা পারি, এবং এই দেশের দরিদ্র্য ক্ষুধার্ত যে মানুষগুলি যারা সবসময় বঞ্চনার শিকার হয়েছে, তাদেও ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই কিন্তু তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। কাজেই কর্তব্য এখন সকলের। এই দেশটাকে আমাদের গড়ে তুলতে হবে।

তিনি যে আকাঙ্খা নিয়ে দেশটা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সেটা তিনি শেষ কওে যেতে পারেননি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাকে হত্যা করেছে। হয়ত ক্ষমতার লোভে কিন্তু এখানেই তারা শেষ হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ কিন্তু এগুতে পারেনি। অথছ বাংলাদেশ পারে। বাঙালি পাওে, যেটা জাতির পিতা সবসময় বলতেন। আমরা সেটা আজকে প্রমাণ করেছি। কারণ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। কারণ আমাদের পরিবারের সব সদস্য শাহাদাৎ বরণ কওে, শুধু আমরা দুইটি বোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছি। তারপরও আমরা ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। কারণ আমাদেরকে তখণকার সরকার জিয়াউর রহমান আসতে দেয়নি।

দেশে ফিরে আসার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, তখন থেকে একটা প্রচেষ্টা ছিল গণতন্ত্র ফিওে আনা, গণতন্ত্রের সুফল যেন জনগণ যেন পায়, স্বাধীনতার সুফল যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌছায় এবং বাংলাদেশ সারাবিশ্বে যেন একটা মর্যাদা পায়। কারণ যখন আমরা বিদেশে রিফিউজি হিসাবে ছিলাম, মানুষের কাছে শুনতাম বা তার পরেও যখণ গেছি, বাংলাদেশ শুনলেই মানুষ মনে করত, এটা একটা ঝড় জলোচ্ছ্বাস ঘুর্ণিঝড় দুর্ভিক্ষ, এবং দরিদ্র্য দেশ। যে দেশ শুধু ভিক্ষার উপর বাঁচে। মানুষের করুণার উপর বাঁচে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যাকে সাহায্য চাইতে হয়। বাজেট তৈরি থেকে শুরু কওে প্রতিটি কাজে অন্যেও কাছে হাত পাততে হয়।

 শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজে কতগুলো ব্যাধি আছে- যেমন ইদানীং ধর্ষণ ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং প্রচার হচ্ছে। যত বেশি প্রচার হয় এর প্রাদুর্ভাব তারা তত বেশি বাড়ে। ইতোমধ্যেই আমরা একটা অধ্যাদেশ জারি করে দিয়েছি আইন সংশোধন করে। কাজেই এখানে এ ধরনের ঘটনা রোধ করতে ব্যাপক ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর