সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি আসন্ন উপনির্বাচনে আগে থেকেই ভরাডুবির আশঙ্কা করছে তাই নানান অভিযোগ করছে। ভোটের আগে অভিযোগ, ভোটের দিন সরে দাঁড়ানো এবং পরে নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থ বলা, বিএনপির পুরনো কৌশল এখন ভোঁতা হয়ে গেছে।”
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পণ্যবাহী যানবাহন চালকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
নিরাপদ এবং উন্নয়ন-বান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ১২১টি দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁকের ঝুঁকিহ্রাস করা হয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের মাঝে সুদৃঢ় সমন্বয় গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সমন্বয় যত দৃঢ় হবে মহাসড়ক তত নিরাপদ হবে। সড়ক নিরাপত্তায় জনসচেতনতা তৈরিতে মন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
কাদের জানান, মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করায় মুখোমুখি সংঘর্ষ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জেলা ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশাসহ নন-মোটরাইজড যানবাহনের চলাচল বন্ধে আরো কঠোর হতে তিনি সংশ্লিষ্টদের এসময় নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, প্রায় দুইশ ছাব্বিশ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-খুলনা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে। এসকল বিশ্রমাগারে পার্কিং, গাড়ি চালকদের বিশ্রাম ও রাত্রিযাপনের সুবিধা ছাড়াও গাড়ি মেরামত ও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, প্রকল্পের পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং প্রকল্প কর্মকর্তাগণ এসময় ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।