মেহেরপুরে রুবিনা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মৃত অবস্থায় জেলার জেনারেল হাসপাতালে তার মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রুবিনার পরিবারের। তবে এলাকাবাসী বলছে নিজ গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এই গৃহবধূ।
রুবিনা জেলার সদর উপজেলার টেঙ্গারমাঠ গ্রামের রবগুল হোসেনের মেয়ে। চার বছর আগে পার্শ্ববর্তী মনোহরপুর গ্রামের মিলন হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামী মিলন হোসেন একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে চাকুরীর সুবাদে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এই দম্পতি।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রান্না নিয়ে দুজনের ঝগড়া শুরু হয়। রাত নয়টার দিকে রুবিনা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। স্বামী মিলনের চিৎকারে বাসা মালিকের পরিবারসহ আশেপাশের লোকজন গিয়ে রুবিনার গায়ের আগুন নেভায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবি করেন বাসা মালিকসহ আশেপাশের লোকজন।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, বামন্দী এলাকায় মিলনের ভাড়া বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা তা তদন্ত করা হচ্ছে।