ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে নোয়াখালীমুখী লংমার্চটি কুমিল্লায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর টাউনহল মাঠের মুক্তমঞ্চে এ প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রতিবাদী গান-স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা টাউনহল মাঠ। সমাবেশের পরেই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফেনীর উদ্দেশে রওনা হয় লংমার্চটি।
এর আগে বিকেল সোয়া ৫টায় ঢাকা থেকে নোয়াখালীমুখী লংমার্চটি কুমিল্লা এসে পৌঁছায়। লংমার্চটিকে পুলিশ লাইন্স থেকে স্বাগত জানান কুমিল্লার নেতারা। লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা প্লেকার্ড-লাল পতাকা নিয়ে স্লোগান দিয়ে টাউনহলে প্রবেশ করে। এ সময় টাউনহলের মুক্তমঞ্চে লংমার্চকে স্বাগত জানিয়ে গান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা।
বাসদ মার্কসবাদী নেতা ও নারী মুক্তি কেন্দ্রের প্রেসিডেন্ট সীমা দত্ত জানান, শুক্রবার সকালে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে নোয়াখালী লংমার্চ শুরু করি। মাঝে নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও অবস্থান নেই। পরে বিকেল ৪টায় কুমিল্লা চান্দিনা ও পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় টাউনহলে এসে আমরা অবস্থান নেই। এখানে আমাদের সাথে কুমিল্লার নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।
বাসদ মার্কসবাদী নেতা ও নারী মুক্তি কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক নাঈমা খালিদ মনিকা জানান, রাতেই তারা ফেনীর উদ্দেশে রওনা দেবেন। শনিবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পৌঁছাবেন।
লংমার্চে অংশগ্রহণকারী সিপিবি প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহিল কাফি রতন বলেন, আমরা ৯ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিবাদে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করে কয়েকটি বামপন্থী ও নারী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।