চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম মোশাররফ হোসেন।
রোববার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মরহুমের নিজ গ্রাম মুক্তাগাছার কান্দিগাওয়ের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, বাদ জোহর ময়মনসিংহ নগরীর গঙ্গাদাস রোডস্থ মরহুমের নিজ বাসভবনের সামনে প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তবে আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশি বাঁধায় সেখানে জানাজা পড়তে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক নেতা।
প্রথম জানাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ওয়ারেস আলী মামুন, সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, আবু ওয়াহাব আকন্দ, ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, আলমগীর মাহমুদ আলম, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, মোতাহার হোসেন তালুকদার, অ্যাড. নূরুল হক, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে বাদ আছর মুক্তাগাছা উপজেলার খেলার মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং মরহুমের নিজ গ্রাম কান্দিগাওয়ে তৃতীয় জানাজা শেষে সেখানেই পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। সর্বশেষ তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়লে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
দলীয় সূত্র জানায়, একেএম মোশাররফ হোসেন বিসিআইসির চেয়ারম্যান ছিলেন। ছিলেন শিল্প সচিব। এরপর চাকরি জীবন শেষ করে ১৯৯৬ সালে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসন থেকে দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালে তিনি দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।