বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও শুরু হয়েছে পণ্যবাহী নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের অনির্দিষ্টকালের লাগাতার কর্মবিরতি। এতে পণ্যবাহী নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকলেও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যাত্রী সাধারণের কথা চিন্তা করে কর্মবিরতির বাইরে রাখা হয়েছে লঞ্চ চলাচল।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মবিরতি ডাকা হলেও বরিশালে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে যার যার কর্মরত পণ্যবাহী নৌ-যানে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।
নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শেখ আবুল হাসেম বার্তা২৪.কম বলেন, গেল ২০১৬ সাল থেকেই নৌ-যান শ্রমিকদের স্বার্থে ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছি। অদ্যাবধি পর্যন্ত কোনো দাবি মানেনি লঞ্চ মালিকরা। তাদের খেয়াল খুশি মত শ্রমিকদের ব্যবহার করছে। এবার ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে।
ঘোষিত ১১ দফার মধ্যে নৌ-যান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, খোরাকী ভাতা ফ্রি, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, মাস্টার ড্রাইভার শিপ পরীক্ষায় ও ডিপিডিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সব অনিয়ম বন্ধ, কোর্স চলাকালে শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ছুটি, নৌ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসালয় খোলা, নৌ-পথে মোবাইল কোর্টের নামে হয়রানি এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি বন্ধ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নৌ শ্রমিকের মৃত্যু হলে ১০ লাখ টাকা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ, ভারতগামী শ্রমিকদের লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে ল্যান্ডিং পাস সার্ভিস ভিসা ও জাহাজের ফ্রিজিং ব্যবস্থা, বাজার ও অন্যান্য কাজের জন্য আলাদা নৌকার ব্যবস্থা করার দাবিও রয়েছে।