জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 15:48:25

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর হতে ২ অক্টোবর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। রোহিঙ্গা সমস্যাটা এবার আলোচিত হয়েছে এবং এর প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

'প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও একটি শান্তিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশের অবদান বর্ণনা করেন এবং বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ বিশেষ করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি তুলে ধরেন। যা উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে'।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পরিষদে সম্মিলিত ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং বিশ্বের নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়ে যে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছেন তা খুবই প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের অংশগ্রহণ খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায় থেকে ইন্টারন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস রেসপন্স প্ল্যান ফর কোভিড-১৯ প্রণয়ন করেছিল। বর্তমানে ৯৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৫০টি বেসরকারি। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক এবং চার হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটা করোনা হ্যান্ডেল করার ক্ষেত্রে বড় অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আউট সোর্সিংয়ের মধ্যে দুই হাজার ৬৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় পাঁচ হাজার ১০০ ডাক্তার এবং এক হাজার ৭০০ নার্সকে আইডিসিআরের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ম্যানেজমেন্ট ও ইনফেকশন প্রিভেনশনাল কন্ট্রোল বিষয়ে অরিয়েন্টশন দেয়া হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে তারা করোনা মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছে।

তিনি জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেছে এবং চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কারিগরি কমিটি টেকনিক্যাল কার্যক্রম মনিটরিং করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর