চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | 2023-08-01 12:55:09

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাসিক সভা চলাকালে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাসিক সভা চলাকালে মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা শাহাদাত হোসেন খুররমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান খুররম বাইরে আসলে মারধরের শিকার হন মনাকষা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম। এ সময় দুই গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মাসিক সভা কক্ষের পাশের রুমের দরজা, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা। এতে এমপির সমর্থকদের প্রায় ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু কয়েক দফায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপজেলা পরিষদ ভবনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি বেগমের অফিস কক্ষের জানালা ভাঙচুর করে। অপরদিকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপর (সদর সার্কেল) ইকবাল হোছাইন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও পৌর মেয়র কারিবুল হক রাজিন পুলিশের প্রটোকলে ঘটনাস্থলে ত্যাগ করেন। মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা শাহাদাত হোসেন খুররম জানান, সভায় উপজেলার সকল সরকারি বরাদ্দ সঠিকভাবে বাস্তবায়নে অনুরোধ জানিয়েছি মাত্র।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি জানান, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি। এর বেশি কিছু জানি না।

 ইটপাটকেল নিক্ষেপে উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর। ছবি: বার্তা২৪.কম

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজন আহত হয়েছে।

পৌর মেয়র কারিবুল রাজিন বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ত্যাগ করার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আমাকে ও সংসদ সদস্যকে পথ গতিরোধ করে। এতে ছাত্রলীগের কর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হই। সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ইউএনও ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার করে আইগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি। এছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কথা জানান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর