বিতর্ক ও সমালোচনা মুখে অফিসে পোশাক ও পর্দা মেনে চলার নির্দেশনাটি বাতিল করে ক্ষমা চেয়েছেন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
স্বাস্থ্য বিভাগের শোকজ নোটিসের পরেই ক্ষমা চেয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুর রহিম জানান, ‘উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সকলের কাছে অনিচ্ছাকৃত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখপ্রকাশ করছি। সেই সাথে গোটা জাতির কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করছি।’
এর আগে বুধবার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল/ল্যান্ডফোন বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাখনুর ওপর ও মহিলা হিজাবসহ টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আর্কষণ হলে বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে পোশাক নিয়ে নির্দেশনা জারি বিষয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিমকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: জনস্বাস্থ্যের পর্দা বিধি: পরিচালক ডা. রহিমকে শোকজ
জনস্বাস্থ্যের পর্দা বিধি: নারীদের হিজাব, পুরুষদের টাকনুর ওপরে পোশাক
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আপনি, পরিচালক জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ঢাকা, নিজ স্বাক্ষরে গত ২৮.১০.২০২০ খ্রি তারিখে ৯০৭ সংখ্যক পত্রে ‘অফিস চলাকালীন সময়ে বর্ণিত ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে ও মহিলা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো মর্মে’ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন’।
‘এমতাবস্থায় ‘অফিস চলাকালীন সময়ে বর্ণিত ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে ও মহিলা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো মর্মে’ জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি কোন বিধি বলে এবং কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা হয়েছে তার স্পষ্টিকরণ ও ব্যাখ্যা আগামী তিন(০৩) কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো’।