শীতকালীন শাক-সবজির মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাতের কারণে আগাম সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও নতুন করে আবারও শাক-সবজি চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
তবে বর্তমান বাজার ভালো হলেও বাজার কমে যাওয়ার আশংকা করছেন তারা।
বাজারে শাক-সবজির দাম ভালো থাকায় কুড়িগ্রামের কৃষকরা এবার আগাম সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। কিন্তু সবজি বীজ রোপণের পরপরই ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এরপর আবারও নতুন করে জমি তৈরি করে মুলা, লাউ, শসা, লাল শাক, পালংসহ বিভিন্ন জাতের সবজি বীজ রোপণ করেছেন ফলনও হয়েছে বাম্পার। এসব শাক-সবজি উঠানোর পর আলু রোপণ করবেন বলে জানান কৃষকরা।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, জেলায় বিভিন্ন শাক-সবিজর আবাদ চলমান রয়েছে। তাও শাক-সবজির লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৫ শ হেক্টর জমিতে।
সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক লাইজু জানান, কিছুদিন আগে ২ একর জমিতে মুলা রোপন করেছিলাম তা বৃষ্টির পানিতে সম্পন্ন নষ্ট হয়ে গেছে। আবার লাগাইছি দেখা যাচ্ছে ভালো ফলন হয়েছে। কামলা নিয়েছি খেত পরিচর্য়া করছে। এগুলো বিক্রি করে আবার আলু লাগাবো।
ওই ইউনিয়নের আরেক কৃষক গুহর উদ্দিন বলেন, অনেক টাকা খরচ করে শাক চাষ করছিলাম বৃষ্টিতে সব নষ্ট হইছিল। পরে আবার নতুন করে লাল শাক, পাট শাকসহ মুলা লাগাইছি দেখা যাচ্ছে ভালো হয়েছে। আসা করা যায় আগের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবো।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ সামছুদ্দিন মিয়া জানান, কুড়িগ্রামে বিভিন্ন শাক সবজির রোপণ এখনো চলমান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে বাজারে যথেষ্ট পরিমানে পাওয়া যাবে।