লক্ষ্মীপুরে ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর | 2023-08-27 15:29:04

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ ৪ সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (১ নভেম্বর) বিকেলে রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এরআগে শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রায়পুর পৌরসভার মেয়র ইসমাইল খোকন বাদী হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার মুকুল পত্রিকার সম্পাদক একেএম মিজানুর রহমান মুকুল, নির্বাহী সম্পাদক আফরোজা রহমান রাঙ্গা, এশিয়ান টিভির রায়পুর প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম টিটু ও মোহনা টিভির রায়পুর প্রতিনিধি এসএন রিয়াদ উদ্দিন।

এজাহার সূত্র জানায়, মেয়র ইসমাইল খোকন রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পেশায় ব্যবসায়ী। গত ২৮ অক্টোবর দৈনিক বাংলার মুকুল পত্রিকায় ‘রায়পুর ডাকাতিয়া নদী এখন খোকন ডাকাতের দখলে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে রায়পুর মহিলা কলেজ থেকে জমাদার বাড়ি সাঁকো পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার নদী দখলে নেয়, খোকন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নৌকায় বসাতো মদের আসর, গত রবিবার খোকন রাতের আধারে মাতাল অবস্থায় জাল কেটে দেয়াসহ বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পরে ওই পত্রিকার প্রিন্ট কপি অভিযুক্তরা তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট ও শেয়ার করে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, রায়পুর ডাকাতিয়া একটি প্রবাহমান নদী ছিল। প্রায় ৩৫-৪০ বছর আগে এ নদী থেকে একটি সংযোগ ক্যানেল সোলাখালি পর্যন্ত নতুন নদী কাটা হয়। এতে রায়পুর বাজার সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে নদীর মাঝ বরাবর বাঁধ দিয়ে রায়পুর হায়দরগঞ্জ সড়ক নির্মাণ করা হয়। এতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে মৃত নদীতে পরিণত হয়। তখন ডাকাতিয়া নদীর দু’পাশে বদ্ধ জলাশয় পরিণত হয়। বাঁধের দক্ষিণ পার্শ্বে মানিক নামে এক ব্যক্তি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে। এতে জলাবদ্ধ ভূমি আবর্জনা, ডেঙ্গুমশাসহ পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উত্তর পাশে মাছ চাষের জন্য কোন লোক না থাকায় ওই স্থানটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। কিন্তু অভিযুক্তরা সংবাদটিতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন ও ফেসবুকে শেয়ার করে মেয়র খোকনের মানহানি করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে মেয়র খোকন বাদী হয়ে ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক মিজানুর রহমান মুকুল বলেন, সংবাদটি প্রকাশের পর মেয়রের আপত্তির কারণে আমরা পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে সংশোধন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। তারপরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি আমরা আইনিভাবে মোকাবেলা করবো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর