কায়িক শ্রমের মধ্যে না থাকা অসংক্রামক রোগের জন্য অনেকাংশ দায়ী

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 01:37:59

তামাক সেবন, কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মধ্যে না থাকা, অসম খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারণগুলো অসংক্রামক ব্যাধির জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, হৃদরোগ, ক্যান্সার, রক্তচাপ ইত্যাদি অসংক্রামক (নন-কমিউনিকেবল) মরণব্যাধি জীবনের জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি তৈরি করে। এই অসংক্রামক ব্যাধিগুলো থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধ ও সচেতনতার জায়গাটি খুবই সুসংহত করতে হবে। সংসদ সদস্যগণ এক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন। 'এনগেজিং পার্লামেন্টেরিয়ান্স ইন কন্ট্রোলিং নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডি)' শীর্ষক সেমিনার এক্ষেত্রে একটি কার্যকর উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

রোববার (১ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত 'এনগেজিং পার্লামেন্টেরিয়ান্স ইন কন্ট্রোলিং নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডি)' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ ধরনের সেমিনার আয়োজনের জন্য আয়োজকবৃন্দের প্রশংসা করেন স্পিকার।

স্পিকার বলেন, পরোক্ষভাবে নারী-শিশুরাও তামাকের কুপ্রভাবের শিকার হয়ে থাকে। এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে। ক্ষতিকর প্রভাবগুলো অবহিতকরণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার সুযোগ বাড়ানো গেলে অসংক্রামক ব্যাধিগুলো রোধ করা সম্ভব।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে জনসম্মুখে ধূমপান নিষেধ, জরিমানা আরোপসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। এই ধরনের আইন-নীতি-পদক্ষেপ জনসম্মুখে ধূমপানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে, যা জনসম্মুখে ধূমপানকে অনেকটা কমিয়ে এনেছে। সংসদ সদস্যগণ এলাকাভিত্তিক গ্রুপ করে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইনভিত্তিক ক্যাম্পেইন, নিয়মিত ব্যায়াম সম্পর্কে অবহিতকরণ, সাইকেল র‍্যালি, সকালে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস তৈরিতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে পারেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী এলাকায় অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা যেতে পারে। সুস্থ জাতি নিশ্চিতকরণে সংসদ সদস্যগণ, ডাক্তারসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের অনারারি সভাপতি গাব্রিয়েলা কুয়েভাস ব্যারন, কিডনি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ডা. হারুন-উর-রশিদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর পরিচালক বন্ধন শাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, জাপানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল মালিক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আ ফ ম রুহুল হক, মেহের আফরোজ চুমকি, অপরাজিতা হক, শিরীন আক্তার, আরমা দত্ত, নাহিদ ইজাহার খান, পীর ফজলুর রহমান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জাকিয়া নূর, আদিবা আনজুম মিতা, সৈয়দা রুবিনা মিরা, নাহিম রাজ্জাক তাঁদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর