তৃতীয় দিনে শেবাচিম হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল | 2023-08-27 15:26:49

তৃতীয় দিনের মতো বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তাররা তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে শুরু করে সোমবার (২ নভেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো এ কর্মবিরতি চলছে।

তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ডা. মাসুদ খানের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডা. মাসুদ খান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এর সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক ও গণমাধ্যমে মানহানিকর অসত্য প্রচারের বিচার করা।

শেবাচিম সূত্রে জানা গেছে, গেল মাসের ২০ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খানের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাসুদ খান কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ২১ অক্টোবর পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর ২২ অক্টোবর মাসুদ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে পরিচালকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে তার বিচার দাবি করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর কয়েকদিন পর ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং কর্মবিরতির ডাক দেয়। কিন্তু মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতাল পরিচালক ও উপ-পরিচালকের হস্তক্ষেপে আড়াই ঘণ্টার আলোচনা শেষে রাত আড়াইটায় কর্মবিরতি থেকে সরে আসে ইন্টার্নরা। সেসময় ইন্টার্নরা কর্তৃপক্ষকে কিছু আল্টিমেটামও দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার (৩১ অক্টোবর) চিকিৎসাসেবা বিরতি রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

মেডিসিন পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মো. হাকিম জানান, গত শনিবার দুপুরের পর থেকে হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসকরাও তাদের কোনো খোঁজখবর নেননি। এমনকি কোনো চিকিৎসকের দেখাও পাওয়া যায়নি।

ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে জানান, চিকিৎসক মাসুদ খানের মামলা প্রত্যাহার, তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর অসত্য প্রচারের বিচার করা।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন জানান, ৩১ অক্টোবর শনিবার সমঝোতা ও সমস্যা সমাধানে ডা. মাসুদ ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কিন্তু কেউ কারো অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি হয়নি। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান এই পরিচালক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর