দুর্নীতির অভিযোগে আরএমপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2023-08-11 02:56:46

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি এসব অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার (২ নভেম্বর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ বরখাস্তের আদেশ দেন।

আরএমপি সূত্র জানায়, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবদুল লতিফের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করেন। তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠালে গত মাসে আবদুল লতিফকে ডেকে পাঠানো হয়। অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মাইনুর রহমান চৌধুরী (প্রশাসন) প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফকে তলব করেন। কিন্তু লতিফ সেখানে গিয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আইজিপি।

জানা গেছে, লতিফের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে পছন্দের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া, বদলিজনিত তদবিরসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একজন কেরানি হয়েও তিনি নামে-বেনামে ও নিজ এলাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি বাণিজ্য, পদোন্নতি, থানা থেকে মাসোহারা তোলা, নিয়োগ, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া, মালামাল না কিনেই বিল উত্তোলন এবং ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে নিজেই কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

২০১৭ সালে লতিফ একদিনেই ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের নিজ নামীয় হিসাব থেকে ৪০ লাখ টাকা এবং তার গৃহিণী স্ত্রীর হিসাব থেকে ৫৮ লাখ টাকা তোলার জন্য চিঠি দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি জানতে পারলে একজন কর্মচারীর এতো টাকার বিষয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেয়।

অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সবকিছু ম্যানেজ করেন লতিফ। ২০১৮-১৯ সালে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি জালিয়াতি করে ঠিকাদারকে কাজ দিয়েছিলেন লতিফ। বিষয়টি জানাজানি হলে লতিফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। কিন্তু তবুও আরএমপিতে বহাল ছিলেন লতিফ। অবশেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ নিয়ে তাকে রাজশাহী ছাড়তে হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর