দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াট

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 04:24:19

দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানীসহ) বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোর্শেদ আলম (নোয়াখালী-২) প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে বিকাল সোয়া ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে সরকারি খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৯৮৬ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ০৫৭ মেগাওয়াট। প্রতিদিন চাহিদার উপর ভিত্তি করে মেরিট অর্ডার ডেসপাস অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

কামাল আহমেদ মজুমদারের (ঢাকা-১৫) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর দক্ষিণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর আওতাধীন বর্জ্য হতে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারিভাবে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইপিপি হিসেব বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বর্জ হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বর্জ্য সরবরাহ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং সিটি করপোরেশন এর মাঝে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া নারায়নগঞ্জ জেলায় ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বর্জ্য ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য চলতি বছরের ২৭ জুলাই দরপত্র আাহবান করা হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দরপত্র উন্মুক্তকরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ আাসনের সংসদ সদস্য এম, আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, গত এক বছরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় গ্রিড উপকেন্দ্রসমূহের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ হাজার এমভিএ। যার মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাসমূহের নিকট সরবরাহ সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পিজিসিবি'র ২৩টি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে, যার আনুমানিক ব্যয় ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ৭৮০০ সার্কিট কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন এবং ৬২ হাজার এমভিএ নতুন গ্রিড উপকেন্দ্রের ক্ষমতা যুক্ত হবে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর