নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গত শুক্রবার থেকে ৬দিন যাবৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৬ হাজার গ্রাহককে।
জানা গেছে, যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ কেভির ৪টি জেনারেটর ইঞ্জিন পরপর নষ্ট হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার ১ হাজার মেঘাওয়াটের ইঞ্জিনটিও বিকল হয়ে পড়ে। ফলে এ উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র ৫০০ কেভির একটি ইঞ্জিন জেনারেটর দিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় নামে মাত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। ইতোমধ্যে ফ্রিজের সংরক্ষিত বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও জরুরি ওষুধপত্র নষ্ট হতে চলেছে। কম্পিউটার, ফটোকপির দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গ্রাহকরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
স্থানীয় বাগেরহাট চাইনিজ অ্যান্ড ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টের মালিক জানান, গত কয়েকদিন বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে তার ফ্রিজে থাকা মাছ, মাংস, মসলাসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
একই দুর্ভোগের কথা জানালেন মোহাম্মদিয়া হোটেলের মালিক আয়াত হোসেন জুয়েল।
হাতিয়ায় ফলের আড়তদার জাকের হেসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে ফল এনে এখানে ফ্যানের মাধ্যমে কুলিং সিস্টেম করে রাখি। গত কয়েকদিন বিদ্যুৎ না থাকায় প্রায় ৫ লাখ টাকার উপরে ফল পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
হাতিয়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ও আবাসিক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান জানান, ইঞ্জিন মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ইঞ্জিন মেরামত করে বিদ্যুৎ চালু করতে আরও ১০-১৫ দিন সময় লাগতে পারে।