রংপুরে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধির বালাই না থাকায় বেড়েছে মাস্কবিহীন চলাফেরা। এতে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি। গেল দুইদিনে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর রংপুর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৭৫ জনে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি রোধ ও দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুর জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে করোনা প্রতিরোধে প্রধান হাতিয়ার মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতার পাশপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
মুখে মাস্ক না থাকলে করা হচ্ছে জেল-জরিমানা। সবখানে মাস্ক পরিধানে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে জেলা প্রশাসন। গেল দুইদিনে রংপুর নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মুখে মাস্ক না থাকায় অর্ধশত জনকে জরিমানা করার পাশাপাশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, ভ্র্যামমাণ আদালত পরিচালনা করে মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাস্ক না পরার অপরাধে অনেককে জেল-জরিমানাও করা হয়েছে। জনসাধারণ যেন মাস্ক পরিধান করে সে লক্ষ্যে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।
এসময় তিনি বলেন, করোনায় দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এখন বাধ্যতামূলকভাবে হাটে-বাজারে ও জনসমাগম হয় এমন স্থানে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নইলে পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহের দিকে যেতে পারে।
অন্যদিকে সোমবার (৯ নভেম্বর) রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ১৩ জন, গাইবান্ধার ৬ ও লালমনিরহাটের ২ জন রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজার রহমান।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার জানান, বর্তমানে এ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৭৫ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৪ জন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।
রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় ৩ হাজার ৭৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। এরপরই রয়েছে বিভাগীয় শহর রংপুর। আর পুরো বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১৬০ জনে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ১৯২ জন, মারা গেছে ২৩৯ জন।