বরগুনা সদর উপজেলার এক বাড়িতে মেয়ে জামাইকে টানা দুইদিন শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে। পরে জামাই আবুল খায়েরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বুড়িরচর এলাকা থেকে জামাই আবুল খায়েরকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর পূর্বে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ছোট আমখোলা গ্রামের আ. ওহাব শেখের ছেলে মো. আবুল খায়ের (২৫) বরগুনায় বেড়াতে আসে। ওই সময় পশ্চিম বুড়িরচর গ্রামের পনু সরদারের মেয়ে মোসা. মৌসুমি আক্তারের (১৬) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে ঢাকায় তাদের বিয়ে হয়। মেয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়েটি কাবিনভুক্ত হয়নি। বিয়ের পরে ওই দম্পতির ঘরে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার বয়স বর্তমানে আট মাস। এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির মানুষ জামাই আবুল খায়েরকে অত্যাচার করে।
ভুক্তভোগী আবুল খায়ের বলেন, বিয়ের পর স্ত্রী আমার বাড়িতেই ছিল। গত দুই মাস আগে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ১৫ অক্টোবর শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে নিতে আসি। কিন্তু শাশুড়ির অসুস্থতার অজুহাতে স্ত্রীকে রেখেই আমার কর্মস্থল ঢাকায় চলে যেতে হয়। গত ৮ নভেম্বর আবারো আমি শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে নিতে আসি। কিন্তু লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ঘরের খাটের সঙ্গে শিকল দিয়ে তারা আমাকে বেঁধে রাখে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে আবুল খায়েরকে উদ্ধারের পাশাপাশি শাশুড়ি খাদিজাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী মৌসুমিকেও থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে শ্বশুর পনু সিকদার ঢাকায় তার কর্মস্থলে রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবুল খায়ের (জামাই) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। যেটা আমরা আমলে নিয়ে আইনানুগভাবে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।