‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা’

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর | 2023-08-18 18:44:18

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও যশোর হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে ‘হোটেল ও রেস্তোরাঁয় মানসম্মত খাবার ও পরিবেশ নিশ্চিতে’ প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিক ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে অনেক সময় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার মুজিববর্ষের শপথ খাদ্য হোক নিরাপদ। আর এই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে। হোটেল বা রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের শত্রু নয়। প্রশাসন বারবার জরিমানা আদায় করলেও হোটেল ব্যবসায়ীরা ঠিক একই কাজ করে আসছে। ফলে কোনো উন্নতি হচ্ছে না মানসম্মত খাবার ও পরিবেশ নিশ্চিত।

তিনি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন, বারবার জেল জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে না পাঠিয়ে সেই টাকায় নিজ প্রতিষ্ঠানের মানসম্মত খাবার ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে। তারপরেও কেউ যদি জেলা প্রশাসনের আইন অমান্য করে তাহলে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক।

যশোর হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শেখ মুকুল বলেন, জেলায় হোটেল ব্যবসায় একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক। এরপর সেই নীতিমালার ভিত্তিতে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যেতে পারে। বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমাদের এই ব্যবসা চালাতে হচ্ছে। যশোর শহরে শতাধিক হোটেল থাকলেও ৫০টির মতো হোটেলের লাইসেন্স আছে। খাদ্যের মান ও পরিবেশ যাচাই বাচাই করে বাকিদেরও লাইসেন্স দিতে বলেন তিনি।

ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, রেস্তোরাঁ বা খাবার হোটেলগুলো সঠিক পথে কাজ করলে আমাদের মনিটরিং টিম জরিমানা করবে না। রেস্তোরাঁ মালিকদের সচেতন হতে হবে এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল লাইচ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলাম, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শিশির কান্তি পালসহ হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর