২৫০০ ফুট ওপরে বাংলাদেশের মেঘছোঁয়া পাহাড়ি সড়কপথ

ঢাকা, জাতীয়

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-02 20:22:53

মেঘছোঁয়া পাহাড়ি পথ, সমুদ্রপৃষ্ট থেকে আড়াই হাজার ফুট ওপরে। দেখতে অবিকল দার্জিলিং শিলং- এর মতো। শুরুতে পাহাড়ে এমন সড়কপথ নির্মাণ কাজ শুরুতে বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবহিনী ওই রাস্তা নির্মাণ করে।

বাংলাদেশে সমুদ্রে বিচরণ যেমন বিস্তৃত হয়েছে, তেমনি পাহাড়ে বিচরণও সহজ হয়েছে। এখন দিনে ৬ ঘণ্টা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে আলীকদম-থানচির ৩৫ কিলোমিটার সড়ক। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যটকরা ঘুরে দেখতে পারেন পাহাড় চূড়ার সাদা মেঘের ভেলা।

বান্দরবানে পাহাড়ে সড়ক নির্মাণ ও শান্তি ফেরাতে বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগ ইতিবাচক পরিবর্তন ইঙ্গিত বহন করে। বান্দরবানের পাহাড়ি বুনো পথেই মোহনীয় সৌন্দর্যে অবগাহন করতে পারছেন পর্যটকরা।

 

সমুদ্রপৃষ্ট থেকে আড়াই হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এ সড়ক নির্মাণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সফল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। সড়কটির নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সেনাবাহিনীর জরিপ টিম ১১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। যেখানে রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে পাহাড়ি অরণ্যঘেরা এ দুর্গম সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। কিন্তু ২০০১ সালে এ কাজ দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। ২০০৬ সালে রাস্তার কাজে হাত দেয় সেনাবাহিনী। বর্তমান সরকারের তাগিদে ২০১৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ হয়। ২০১৭ থেকে উন্মুক্ত হয় সড়কপথটি।

একাজে ১২০ কোটি টাকা ব্যয় হয় সরকারের। এখন এ সড়ক পথের পুরোটাই সেনা নিয়ন্ত্রিত। আলীকদমে প্রবেশ করতে সেনা অনুমতি নিতে হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পাহাড়ে সড়কপথ নির্মাণ বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং তবে পাহাড়ে দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ নির্মাণে আমাদের বিজয় হয়েছে। সড়কটি পাহাড়ি মানুষের যাতায়াতে এবং সমতলে পর্যটন খাতে বড় ভূমিকা রাখবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর