সরকারের ধান-চাল সংগ্রহে সহযোগিতা না করায় দেশের মিলারদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, মিলাররা ধান-চাল সংগ্রহে সহযোগিতা না করলে আগামীতে ভারতীয় সংগ্রহ নীতিমালা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। যেখানে প্রতিটি মিলের জন্য চাল বরাদ্দের পরিমাণ উল্লেখ করে দেওয়া হবে। যা ওইসব মিলকে বাধ্যতামূলকভাবে পরিশোধ করতে হবে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে নওগাঁয় চলতি মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের খাদ্য কর্মকর্তা ও মিল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় অবৈধ মজুদের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনেক মিলার সরকারকে চাল দিতে পারে না। অথচ তাদের গুদামে হাজার হাজার টন ধান মজুদ থাকে। এসব মিলারদের বিরুদ্ধে সরকার বরাবরের মতোই সোচ্চার থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে কৃষকরা আমন আবাদে লাভবান হন। এবার বন্যায় ক্ষতির যে পরিমাণের কথা বলা হয়েছে তেমন ক্ষতি হয়নি। এছাড়া আম্পান দুর্যোগেও ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার রেশন ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং দুর্যোগকালীনের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্য মূল্য পায় সরকার সেই চেষ্টা করছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে প্রতি বছরের ন্যায় সরকার আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে থাকে। গত ৭ নভেম্বর আমন সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। ১৫ নভেম্বরে চুক্তির শেষ সময় থাকলেও পরে মিল মালিকদের অনুরোধে ২৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
বোরোতে যারা সরকারকে চাল দিয়ে সহযোগিতা করছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ রবন সাহা চন্দন, রাজশাহী ও রংপুর খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা মিল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।